আয়োডিমিতি এবং আয়োডোমিতি বলতে কি বুঝ?
আয়োডিমিতি (Iodimetry): প্রমাণ আয়োডিন দ্রবণের সাহায্যে বিজারক পদার্থের টাইট্রেশন করার মাধ্যমে বিজারক পদার্থের পরিমাণ নির্ধারণ পদ্ধতিকে আয়োডিমিতি বলে।
প্রমাণ আয়োডিন দ্রবণের সাহায্যে থায়োসালফেট সালফাইট, আর্সেনাইট ইত্যাদি বিজারক পদার্থের টাইট্রেশন দ্বারা এদের পরিমাণ নির্ণয় করা হয়।
উদাহরণ: প্রমাণ আয়োডিন দ্রবণ দ্বারা সোডিয়াম থায়োসালফেটের (Na2 S2O3) পরিমাণ নির্ণয় একটি আয়োডিমিতিক পদ্ধতিকে এক্ষেত্রে নিম্নরূপ বিক্রিয়া ঘটে-
2Na2 S2O3+I2→Na2 S4O6+2NaI
এক্ষেত্রে ঘটমান অর্ধবিক্রিয়াগুলো নিম্নরূপ:
জারণ অর্ধবিক্রিয়া: 2 S2O32−→S4O62−+2e−…………(i)
বিজারণ অর্ধবিক্রিয়া: I2+2e−→2I−…………(ii)
(i)+ (ii)→2 S2O32−+I2→S4O62−+2I−
আয়োডোমিতি (Iodometry) : কোন জারক পদার্থের দ্রবণের নির্দিষ্ট আয়নের সাথে আয়োডাইড লবণের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন আয়োডিনকে প্রমাণ থায়োসালফেট দ্রবণ দ্বারা টাইট্রেশন করার মাধ্যমে মুক্ত I2 এর পরিমাণ নির্ণয় করে জারক পদার্থের পরিমাণ নির্ণয় করার পদ্ধতিতে আয়োডিমিতি বলে। এ প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত আয়োডিনের পরিমাণ থেকে সংশ্লিষ্ট জারক যেমন- CuSO4,KMnO4 ইত্যাদির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়।
উদাহরণ: নির্দিষ্ট পরিমাণ জারক পদার্থকে (CuSO4 এর দ্রবণ) কনিকেল ফ্লাকে নিয়ে এর মধ্যে অধিক KI যোগ করলে তুল্য পরিমাণ I2 মুক্ত হয়। পরে মুক্ত আয়োডিনকে প্রমান Na2 S2O3 দ্রবণ দ্বারা টাইট্রেশন করা হয়।
এক্ষেত্রে সংঘটিত বিক্রিয়াগুলো নিম্নরূপ-
2CuSO4+4KI→Cu2I2+I2+2 K2SO4…………… (i)
2Na2 S2O3+I2→Na2 S4O6+2NaI………… (ii)
(i) ও (ii) নং হতে-
2CuSO4≡I2≡2Na2 S2O3
বা, 1molNa2 S2O3≡1molCuSO4
≡1molCu2+
অর্থাৎ 1000 cm31MNa2 S2O3 দ্রবণ = 63.54g Cu2+
বা, 1 cm31MNa2 S2O3দ্রবণ = 0.006354g Cu2+
যদি মুক্ত আয়োডিন প্রশমনের জন্য y cm21MNa2 S2O3 দ্রবণ প্রয়োজন হয় তবে ycm31MNa2 S2O3 দ্রবণ = (0.006354×𝑦)g Cu2+। এ ধরনের টাইট্রেশনে স্টার্চ দ্রবণ নির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এভাবে CuSO4 দ্রবণে Cu2+এর পরিমাপ নির্ণয় করা যায়।